অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কিশোরগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে পুলিশ সদস্যসহ ২৯ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জেলা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজাহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া ও নাজমুল আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদেরকে ঘিরে রেখেছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগদান করার সময় স্লোগান দিলে পুলিশ বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে হঠাৎ পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করে। এতে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সিনিয়রসহ সভাপতি মুশতাক আহমেদ শাহীন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জোবায়েরসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। বিএনপি নেতা কর্মীরা আশঙ্কা করছেন বের হলেই তাদেরকে আটক করা হবে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, যুবদলের মিছিল থেকে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তিনি নিজে তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়ে তার প্রতি চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে লাঠিচার্জ ও কিছু শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনিসহ পুলিশের ১১ সদস্যসহ আহত হয়েছেন বলে জানান।
Leave a Reply